Memorial Lectures

8th Arun Chowdhury Memorial Lecture

 The 8th Arun Chowdhury memorial oration was delivered by Professor Achin Chakravarty, Social Scientist with the Institute of Development Studies, Kolkata on 31st March ,2024. Marking 95th birthday of Arun Chowdhury, the oration was held in the premises of Nagari Sudhangsubadani Sikhshya Niketan, the school that he seeded, developed and led as Headmaster during his entire tenure as school teacher and a social organizer. Mr. Dhiren Let, a long time associate of Arun Chowdhury presided over the meeting. The oration was attended by the present students of Nagari Sudhansubadani Sikhshyaniketan as well Nagari Ashram type Balika Vidyalaya. Over and above, many past students of Nagari Highschool, people of the village and the area, political associates of Arun Chowdhury from all over the district, teachers from different schools and others were present.

 The oration was titled “Roles of the state, market and community initiatives in education”. Professor Chakravarty delved deep into the primacy of the role of the state in provision of education for the people. This, he emphasized, is needed to ensure access and equity as well as is a means of social justice that the state is committed to. Incidentally, the financial outlay by the state in education has not been increasing over time commensurate with the needs while people at large are now too keen to use education as a social opportunity for development. The provision and improvement in quality of education, particularly at the elementary and basic levels, is both a compulsion as well as responsibility that the state and the whole of society should own it. Instead, there is a spiraling increase and encouragement on the part of the state for privatization of even school education. It is evident that this would increase the social divide, is not consonant with a policy that fosters development and may not be the right course to pursue. There had been many surveys that had pointed out these aspects of education in our state.

Professor Chakravarty, while mentioning about the emerging organizational landscape in education, also pointed out the glaring community, collective endeavors in different parts of the state that promises to impact in reversing this market trends in education.  He mentioned that while there are areas of significant concern in view of a relative reluctance and less than vibrant participation of the state in trying to make an expedited impact in this situation, these spontaneous as well as organized social initiatives are likely to complement the mainstream. Government schools has to be the fountainheads in school education and a whole of society ownership would make that more useful.

 Dhiren let, president of the meeting, spoke about Arun Chowdhury’s mission and contemporary situation in education. Jayati Chakravarty, managing trustee of Arun Chowdhury memorial trust briefed the gathering about the activities undertaken by the trust and welcomed attendees. Abhijit Chowdhury moved the vote of thanks at the end of the meeting.



অষ্টম অরুণ চৌধুরী স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান হল গত ৩১মার্চ, ২০২৪। নগরী সুধাংশু বদনী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে হল এবারের এই অনুষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অরুণ চৌধুরীর যোগসূত্র ছিল বিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই এখানে এই আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ বার্তাবহ এবং আনন্দদায়ক।

‘শিক্ষায় রাষ্ট্র, বাজার ও গণউদ্যোগ’বিষয়ে এই স্মারক বক্তৃতা প্রদান করলেন ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ এর ডিরেক্টর অধ্যাপক অচিন চক্রবর্তী।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অরুণ চৌধুরীর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবনের সহযাত্রী শ্রী ধীরেন লেট।এদিনের শ্রোতৃমন্ডলীতে উপস্থিত ছিলেন নগরী সহ আশেপাশের গ্রামের শিক্ষক, ছাত্র ও সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষ।নগরী আশ্রমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের  উপস্থিতি ছিল বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য।

আলোচনার বিষয়টি উপস্থাপন করতে গিয়ে বক্তা শিক্ষায়,বিশেষ করে বনিয়াদি স্তরের শিক্ষাবিস্তারে ও পরিচালনায় রাষ্ট্রের দায়িত্বের প্রশ্নটি দ্যর্থহীন ভাবে তুলে ধরেন।প্রসঙ্গত এই দায়িত্ব পালনের প্রশ্নে শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় ব্যয় বাড়ানোর আবশ্যকতার দিকটির গুরুত্ব উল্লেখ করেন।এবং আমাদের দেশে ও রাজ্যে এই বিষয়টির প্রয়োজনের অনুপাতে অপ্রতুলতার বাস্তব চিত্র তুলে ধরেন।সামাজিক উন্নয়ন ধারণাটি দাঁড়িয়ে আছে প্রাথমিক ও বনিয়াদি শিক্ষার সুযোগ প্রাপ্তি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার রাষ্ট্রীয় নীতি ও অভিপ্রায়ের উপর।এটি প্রতিটি শিশুর সাংবিধানিক অধিকার এবং রাষ্ট্রের দায়িত্ব সেটি সুনিশ্চিত করা,এই মর্মে আলোচক মত প্রকাশ করেন।

বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে শিক্ষায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বেড়ে চলা এবং সরকারি শিক্ষার পরিসর কমে আসার ফলে সমাজে তৈরি হওয়া বিভেদপূর্ণ ও বৈষম্যযুক্ত ব্যবস্থা যে ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা সংকোচন ঘটাতে চলেছে সেটি স্পষ্ট করেন।সামাজিক ন্যায়ের প্রশ্নেও এটি সহায়ক হবেনা, সেই ইঙ্গিত করেন।

এই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিসর বৃদ্ধি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ বলে মত প্রকাশ করেন।বিভিন্ন এজাতীয় প্রতিষ্ঠানের কাজের উল্লেখ পূর্বক তিনি এর ইতিবাচক পরিপূরক ভূমিকার অপরিহার্যতার বিষয়টিতে সকলকে অবগত করেন।শিক্ষার মত বিষয়ে স্বতোৎসারিত সামাজিক উদ্যোগ একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র হিসাবে গড়ে উঠতে পারে বলে মত ব্যক্ত করেন।

সভাপতি,ধীরেন লেট  অরুণ চৌধুরীর জীবনের ব্রত হিসাবে শিক্ষার প্রসার ও সংযুক্তির কথা বলেন।বর্তমানের শিক্ষাসংকট নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

অরুণ চৌধুরী মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জয়তী চক্রবর্তী উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে চলার লক্ষ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

 ট্রাস্টের পক্ষ থেকে মূলবিষয়ে সুচিন্তিত ভাবনা রেখে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অভিজিৎ চৌধুরী।